ফের মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় মুখ‍্যমন্ত্রী হলে সবথেকে কষ্ট পাবেন রাজ‍্যপাল : কটাক্ষ কল‍্যাণের

4th October 2020 5:38 pm বাঁকুড়া
ফের মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় মুখ‍্যমন্ত্রী হলে সবথেকে কষ্ট পাবেন রাজ‍্যপাল : কটাক্ষ কল‍্যাণের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  'মে মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে সবচেয়ে বেশী দুঃখ পাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রবিবার বাঁকুড়ার সোনামুখীতে কৃষি বিল ও দলিতদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে এক মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন তৃণমূলের রাজ্যস্তরীয় নেতা ও সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন তিনি আরো বলেন, ঐ সময় উনি পকেটের রুমাল বের করে চোখের জল মুছতে মুছতে 'লালু ভুলুর মতো চেহারা' নিয়ে একটা শ্যুট পরে বাধ্য হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করাতে। আর সেই দিনটাই হবে আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের। ধনকড়ের চোখে জল, বিজেপির চোখে জল আর দিলীপ ঘোষের চোখে জল। আর তখন অন্যদিকে তারা বিজয়োৎসব করবেন বলে তিনি জানান।    বিজেপি ও রাজ্যপালকে নানান মুখরোচক মন্তব্যের ফাঁকেও দলের নেতা কর্মীদেরও কড়া বার্তা দেন এই রাজ্যস্তরীয় তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, যতো বড় দাদা বা দিদি হোন, গ্রুপবাজি করলে দলে জায়গা হবেনা। কারো দয়া বা আশীর্বাদে একবার জায়গা পেয়ে দলের ক্ষতি করলে তাকে ছেড়ে কথা বলা হবেনা। একই সঙ্গে 'লোক্যাল নেতা না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় চলবেন' সে নিয়েও উপস্থিত কর্মীদের সামনে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।